বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

শত কিলোমিটার দূরে থেকেও ধর্ষণ মামলার আসামি বানিয়াচংয়ের ফজলু

নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়িতে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় শত কিলোমিটার দূরে সিলেটে বসবাসরত ফজলুর রহমানকে করা হয়েছে তিন নাম্বার আসামী।

ঘটনার দিন মামলার আসামি ফজলুর রহমান সিলেটের একটি ফুড ফ্যাক্টরীতে কর্মরত ছিল। ওই মামলার আসামি ছিনেনা মামলার বাদী ও অন্যান্য আসামিদের। বাদী তথা অন্য আসামিদের সাথে নেই তার কোন কল রেকর্ড।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ধর্ষণ করা হয় এক কলেজ ছাত্রীকে। মামলার প্রথম আসামি শামীম আহদ মামুন সহ আরো ৫ জন তাকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের কাজে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

পর দিন বুধবার হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলাটি দায়ের করেন হবিগঞ্জ পৌরসভার রাজনগর এলাকার ফেরদৌস মিয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে।

ওই মামলায় বানিয়াচং উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে ফজলুর রহমান (২৪) কেও তিন নাম্বার আসামি করা হয়েছে। অথচ ওই দিন ফজলুর রহমান তার কর্মস্থল সিলেটের সোনার বাংলা ফুড প্রোডাক্টে ডিউটি করছিল।

ফজলুর রহমান জানান, তিনি ওই দিন ঘটনাস্থলে থাকা দূরের কথা হবিগঞ্জেই ছিলেন না, তার কর্মস্থল সিলেটে অবস্থান করছিলেন।

তিনি বলেন, বাদী ও মামলার অন্যান্য আসামিদের তিনি ছিনেন না। তাদের সাথে তার কোন কল রেকর্ডও নেই। তাদের সাথে তার কোন দিন দেখাও হয়নি।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই দিন ওই এলাকায় কোন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। সাতছড়ি এলাকার ব্যবসায়ীরাও এ বিষয়ে কিছু জানেনা।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এলাকার ব্যবসায়ী রমেশ জানায়, মঙ্গলবার সারাদিনই দোকনে ছিলাম, ধর্ষনের কোন খবর পাইনি। শুনিনি কোন হাল্লা চিৎকার।

সাতছড়িতে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড বাবুল জানান, মঙ্গলবার বেলা একটা থেকে তিনি রাত ৭টা পর্যন্ত ডিউিটিতে ছিলেন। সেদিন ধর্ষনের কোন ঘটনা তিনি শুনেননি। মামলায় ঘটনাস্থলে থাকা কাউকে স্বাক্ষী হিসাবে দেয়া হয়নি। দেয়া হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ও ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করা ওই মামলার বাদীর আত্নীয় স্বজনকে।

মামলার বাদী প্রথমে চুনারুঘাট থানায় মামলা করতে গেলেও রহস্যজনক কারণে থানায় মামলা গ্রহন করেনি। পরে আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।

অপর একটি সূত্র জানায়, হবিগঞ্জে একটি চক্র রয়েছে এই ধরনের মামলা সাজিয়ে আসামিদের নাম ডুকিয়ে দিয়ে বাণিজ্য করছে। ওই মামলায় নাম দিতে হলেই তারা হাতিয়ে নেয় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ওই সমস্ত মামলাবাজদেরকে আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী এলাকাবাসীর।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com